বাংলাদেশে কাঠ গাছের তালিকা, ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
অনাকেই আছেন যারা বাংলাদেশে কাঠ গাছের তালিকা এবং বিভিন্ন কাঠের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান আজকের কন্টেন্টি তাদের জন্য ত চলুন দেরি নাহ করে শুরু করি।
বাংলাদেশে প্রায় ১০৪৮ প্রজাতির গাছ রয়েছে, যার মধ্যে ৪৩২ জাত হল প্রজন্ম এবং ৯৯ টি জিমনোস্পার্মস এবং অ্যাঞ্জিওস্পার্ম রয়েছে। যে কাঠের বাণিজ্যিক মূল্য আছে তাকে সাধারণত কাঠ বলে। বাংলাদেশে প্রধানত দুই ধরনের কাঠ আছে, একটি নরমকাঠ এবং অন্যটি শক্তকাঠ নামে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের কাঠের মধ্যে জিমনোস্পার্ম হল নরম কাঠের প্রধান উৎস এবং এনজিওস্পার্ম হল শক্ত কাঠের প্রধান উৎস। যে কোনো দেশে কাঠের ব্যবহার খুব বেশি, যা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলে এবং এর গুরুত্ব অনেক।
কাঠ গাছের তালিকা
বাংলাদেশে প্রায় ৫০০ প্রজাতির কাঠ কৃত্রিমভাবে বনে ও বাড়িতে জন্মানো হয়। এগুলোর বেশিরভাগই শক্ত ও মজবুত কাঠ, তবে পার্থক্য হল বনস্পতি বা বাঁশপাতা গাছ। তবে বাংলাদেশে পাওয়া যাই তার মধ্যে এই সকল কাঠের জাত রয়েছে বাবলা, ছাতিম, বইলাম, গর্জন, সুন্দরি, শাল, মেহগনি, শিমুল ইত্যাদি ।
বাবলা (Acacia nilotica): বাবলা গাছ বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত গাছ। কাঠ শক্ত এবং মজবুত হয়। এটি ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি এবং জ্বালানী হিসাবে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
ছাতিম (Shorea robusta): ছাতিম গাছ বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ গাছ। কাঠ শক্ত এবং মজবুত হয়। এটি ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি এবং জ্বালানী হিসাবে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
বইলাম (Lagerstroemia speciosa): বইলাম গাছ বাংলাদেশের একটি সুন্দর গাছ। কাঠ শক্ত এবং মজবুত হয়। এটি ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি এবং জ্বালানী হিসাবে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
গর্জন (Dipterocarpus turbinatus): গর্জন গাছ বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত এবং মূল্যবান গাছ। কাঠ শক্ত এবং মজবুত। এটি ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি, এবং জাহাজ নির্মাণ সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
সুন্দরি (Shorea robusta): সুন্দরী গাছ বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ গাছ। কাঠ শক্ত এবং মজবুত। এটি ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি এবং জ্বালানী হিসাবে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
শাল (Shorea robusta) : শাল গাছ বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ গাছ। শাল কাঠ শক্ত এবং মজবুত। এটি ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি, এবং কাগজ তৈরি সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
মেহগনি (Swietenia macrophylla): মেহগনি গাছ একটি বিদেশি গাছ। গাছটি খুব সুন্দর এবং শক্তিশালী। এটি ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি, এবং কাঠের কাজ সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
শিমুল (Bombax ceiba): শিমুল গাছ বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত এবং সুন্দর গাছ। কাঠ শক্ত এবং মজবুত। এটি ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি, এবং কাগজ তৈরি সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে আরও অনেক ধরনের কাঠ রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কাঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি স্থানীয় মানুষ ও উদ্যোক্তাদের আয়ের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে। তাই, বৃহৎ আকারের গাছ কাটা এড়াতে, স্থানীয় জনগণ এবং জড়িত শিল্পগুলিকে অর্থনীতি এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে, পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ব্যবসার জন্য কাঠের সম্পদ অনুসন্ধান এবং সচেতনতা বিবেচনা করতে হবে। পরিবেশগত সুবিধাগুলিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।